"প্রেমের কবিতা"
খনির মতো দুটি চোখ
মাথায় ডেভির আলো পরে
নেমে যাই
সোনা পাই
হীরে পাই
আরো নেমে পেয়ে যাই
কহিনূর
কিন্তু কি ফ্যাসাদ বলো দেখি
পাতাল এত সুন্দর যে
খনির বাইরে বেরোতে পারি না
কিছুতেই
২।
তোমার চুপ করে থাকা
আসলে শান্ত অর্কিড
কয়েক পৃষ্ঠা মেঘের পুনর্মুদ্রণ হলেই
স্নেহময়ী বৃষ্টির মত কথা বলে উঠবে
তোমার সবুজ পাতায় টুপ করে পড়েই
ভেঙে গুঁড়ো হয়
চৌচির হয়
বৃষ্টির এক ফোঁটা জল
এক ফোঁটা জল ভাঙার শব্দ
ওটুকুই ক্লু
সেই শব্দের পাশে নিজেকে বরাবর
সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ মনে হয়
৩।
আঙুর পাতা দেখলেই
তোমার হাত স্পষ্ট হয়
ঐ হাত ছুঁয়ে বুঝি
প্রেমের বাইরে
আর কোন প্রেম নেই
তোমার চোখে চোখ রাখলেই
অথৈ হ্রদ স্পষ্ট হয়
ঐ হ্রদ ছুঁয়ে বুঝি
জলের বাইরে
আর কোন জল নেই
৪।
পূজো নিয়ে চলে যাও
হাতে পড়ে থাকে প্রসাদ
বারবার ভাসানের বাজনা বাজে বলে
হাঁটু গেড়ে কাদার প্রতিমা বানাই
৫।
এমন শুয়ে আছো
নদীর ওপর ব্রিজ মনে হয়
এমন উঠে দাঁড়ালে
যেন ব্রিজের ওপর সটান ল্যাম্পপোস্ট
আলোর সান্নিধ্যে নিজেকেও পতঙ্গের মত লাগে
শুধু ঘুরপাক খাই
আবছা লাগে মৃত্যুর পরের স্টেশন
No comments:
Post a Comment