Monday, December 16, 2019

হিন্দুরাষ্ট্র, মৌলবাদ এবং কিছু অসঙ্গতি -- হিন্দোল ভট্টাচার্য







হয় এ পক্ষ নিতে হবে নয় অন্য পক্ষ। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই বাইনারির বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু ভারতবর্ষ এখন এমন একটা জায়গায় এসেছে, যে পক্ষ আমাকে নিতেই হবে। আপনাকেও। কারণ যা কয়েকদিন আগেও আমাদের মতো কয়েকজনের আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন আমার আপনার ঘরের দরজায় শুধু টোকা মারছে তা-ই নয়, ঘর থেকে টেনে বের পর্যন্ত করে দিতে পারে। হিন্দুরাষ্ট্রের দালালরা তাদের দাঁত নখ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আপনারা সবকিছুই দেখতে পাচ্ছেন আজ ভিডিওতে। দেখছেন কীভাবে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারত নামের অধুনা হিন্দুরাষ্টের পুলিশ ভারত নামের গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক ছাত্র ছাত্রীদের উপর গুলি আর টিয়ার গ্যাস বর্ষণ করছে। কীভাবে তারা টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নামিয়ে মারছে। দেখতে পাচ্ছেন সারা দেশে আগুন জ্বলছে। উত্তরপূর্ব ভারত বিচ্ছিন্ন। আমাদের এই বাংলাতেও দিকে দিকে আগুন জ্বলছে। মানুষ অস্থির হয়ে অসহিষ্ণু হয়ে কী করবে ভেবে পাচ্ছে না যেমন, তেমন উস্কানি দিয়েও চলেছে হিন্দুরাষ্ট্রের দালালরা। এই সব দালালরা কী করছে? গোপনে বাসে আগুন লাগিয়ে অন্যদের নামে বলে দিচ্ছে। বাড়ি বাড়ি আগুন লাগাচ্ছে। মূল লক্ষ্য তাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো। কারণ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ালে তাদের উপকার। হিন্দুরাষ্ট্রের ক্যাম্পেনিং তারা আরও ভালোভাবে করতে পারে।
এবার পক্ষ নিতে হবে বন্ধু। হয় হিন্দুরাষ্ট্র নয় ভারতের গণতন্ত্র। মানছি এ দেশের গণতন্ত্র আছে কিনা, তা অনেকের কাছেই প্রশ্নের। কিন্তু একটা কথা তো মানতেই হবে, হিন্দুরাষ্ট্রের বিরোধী সমস্ত কিছুকেই আমাকে সমর্থন করা দরকার। হিন্দুরাষ্ট্রই আমাদের বাইনারি চোখে দেখতে বাধ্য করছে। তা না হলে তো আমরা বহুস্তর বহুস্বরকেই আমাদের আদর্শ মেনে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু এই বহুস্বরকে মেনে আজ হিন্দুরাষ্ট্রের স্বরকেও উচ্চগ্রামে উঠতে দিলে আর সেই স্বর আমাদের নাগালের মধ্যে থাকবে না। যেমন, যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই হিন্দুরাষ্ট্রের দালালরা, তা একবার যদি লেগে যায়, তবে আর তা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় সামাল দেওয়া। স্বয়ং গাঁধিও অনেক কষ্টে সামান্য তা সম্ভব করতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই পারাটাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

এই যে আমরা চোখের সামনে মৌলবাদকে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যেতে দেখলাম, তা তো একদিনে হয়নি। মৌলবাদ একটা অসুখ, যা বহুদিন ধরে আমাদের রক্তের মধ্যে, আমাদের স্নায়ুর মধ্যে বাসা বেঁধে আছে। তার প্রকাশ নানারকম ভাবে হয়ে চলেছে। এই তো কয়েকদিন আগে, একজন অধ্যাপক কবি প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্র তুলে জঘন্য ভাষায় পাবলিক পোস্ট দিলেন। সেই পোস্টে বেশিরভাগ মহিলা সাহিত্যিক এবং কবিদের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শয্যাসঙ্গিনী করে তুললেন। এভাবে অসহিষ্ণুভাবে অনৈতিক ভাবে অপমান করার অধিকার তাকে কে দিল তা কেউ জানে না। কিন্তু এই নীতিবোধ, এই শ্রদ্ধাবোধ এবং এই সৌজন্য আমাদের মধ্যে থেকে মুছে যাচ্ছে যে এভাবে সমস্ত মানুষকে অপমান করা কোনও সাহিত্যিকের বা কবির বা অধ্যাপকের কাজ হতে পারে না। অথচ যিনি করলেন তিনিই ধর্ষন বিষয়ে পাতার পর পাতা লেখেন। তিনিই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেন। আবার তিনিই যে কোনও একজন অগ্রজ এবং ইহজগতে না থাকা সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে অশ্লীলভাবে জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেন ও তাঁর সূত্র ধরে আরও নীচ মন্তব্য করেন মহিলাদের। এটিও কি ধর্ষণ নয়? মৌলবাদ নয়? বা, ধরুন, এই যে আমরা বলি, ইনি কবি এবং ইনি অকবি, এর মধ্যেও কি নিজের মৌলবাদী সুপিরিয়রিটি ব্যক্ত করার প্রবল বাসনা নেই? বা, ধরুন, আমি যদি এখন সাংস্কৃতিক গুণ্ডা হয়ে যাই, তাহলে কি আমিও ব্যক্তি মানুষ কার সঙ্গে সময় কাটাবে, কার সঙ্গে ছবি তুলবে, কার সঙ্গে প্রেম করবে, কার সঙ্গে শোবে, সে বিষয়ে মতামত জাহির করব না? বলব না, এটা কোর না, এটা কর! এটাও যে মৌলবাদ।

এই কয়েকদিন আগে ফেসবুকে ঘটে চলা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে জঘন্য ভাবে আক্রমণ করার বিরুদ্ধে হয়ে গেল সুনীল সরণি। খুব ভালো অনুষ্ঠান। কিন্তু এই অনুষ্ঠান কি পারল আমাদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ ফিরিয়ে দিতে? শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নিশানাথের কথা মনে পড়ে যিনি বলেছিলেন যে জাতি নিজেদের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়েছে, তারা আর কাকে শ্রদ্ধা করবে? কিন্তু এমনটা হচ্ছে কেন? কেন একজন কবি -অধ্যাপক অশিক্ষিতের মতো ভাষায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে অপমান করেন? কেন এই বাংলায় কোনও কবির সম্পর্কে আর্থিক ভাবে প্রতারণার দায় চাপিয়ে তাঁকে আক্রমণ করা হয়? এমন একজন কবি, যিনি কবি হিসেবে কয়েক আলোকবর্ষ উচ্চে। এখানেও কি ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ রইল আমাদের? যেমন কবীর সুমনকে কতকিছুই না সহ্য করতে হয়েছে। তিনি কেন পাঁচটি বিবাহ করেছেন, কেন তিনি মুসলমান হয়েছেন, এগুলিই যেন প্রধান আলোচ্য বিষয়। যেন এগুলি বলবে কেন তিনি কালজয়ী শিল্পী। সুমনের বাংলা গান, বাংলা ভাষা এবং বাংলা ভাবনার জগতে যে আবেদন, সেই জায়গা কি কেউ নিতে পারবেন আগামী একশ বছর?

কিন্তু আমরা যখন আলোচনা করি, তখন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করি অনেক বেশি। ব্যক্তিগত বিষয়কে সরিয়ে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা আমরা করি না। আমাদের সমালোচনায় কাজ করে তীব্র বিষাক্ত মৌলবাদ। হয়তো আমরা সেই মৌলবাদকে মৌলবাদ হিসেবে বুঝতে পারি না। কিন্তু এই অসহিষ্ণুতা, এই ভায়োলেন্স এবং এই নির্মম বাইনারি প্রেফারেন্সগুলি শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অনুশাসনে পরিণত হয়ে যায়, যে অনুশাসনকে আমরা চাপিয়ে দিতে চাই প্রত্যেকের উপরেই। আমাদের মধ্যে থাকা এই মৌলবাদী প্রবণতাকেই কাজে লাগিয়ে আজ হিন্দুরাষ্ট্র গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে চলেছে ভারতের শাসক।

তাহলে আবার প্রসঙ্গে আসি। আজ থেকে বহুবছর আগে থেকেই এই মৌলবাদী ট্রেন্ড আমাদের জনজীবনকে গ্রাস করেছে। মুসলমানদের প্রতি তথাকথিত বর্ণহিন্দুদের বিদ্বেষ গোপনে তো ছিলই। কিন্তু সেই বিদ্বেষকে এখন একটা খোলা হাওয়ায় সামাজিক প্রবণতা গড়ে তুলে তাকে শাসনের ও ক্ষমতা কাঠামোর বিশেষ একটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ভারতীয় শাসকদের বহুদিনের অস্ত্র।

বিজেপি বা ভারতীয় রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তার সহায়ক অমিত শাহ-এর হাত ধরে এমন-ই এক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য এখন একটার পর একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে, যেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ও মধ্যবর্তী সময়ে যে জার্মানিতে যে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন তৈরি হয়েছিল, তার ব্লু প্রিন্ট। বিপুল ভোটে জিতে সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের থেকে নীরবতার সম্মতি ও বিরোধ না পেয়ে কার্যত বিরোধীশূন্য অবস্থায় আর্যাবর্তের দর্শন ঘাড়ে চাপিয়ে উন্মত্ত জার্মান নাগরিকদের বিপুল সমর্থন পেয়ে গড়ে উঠেছিল নাগরিক সংশোধনী আইন, যার জেরে ইহুদীদের স্থান হয়েছিল কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। তার পর সেই সব কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প যে বিরোধী সমস্ত কণ্ঠের জীবনের শেষ আশ্রয় হয়ে উঠবে, এ বিষয়েও ইতিহাস এখনও মুখ নীচু করে থাকে। যখন বারবার এখানে উচ্চারিত হয়েছিল বিজেপির উত্থান, রাজনীতি এবং কার্যধারা, তখন থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল ফ্যাসিবাদী উত্থান।

আর দেখুন এই শাসকদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে কারা আনল? আমাদের দেশের নাগরিকরাই তো আনল। এত ভোট তো কারচুপি করে পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গটা ১৩০ কোটি মানুষের। ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে জানেন কজন? এই দেশের কজন দেশের এই স্বৈরাচারী শাসকদের সম্পর্কে জ্ঞাত? এই শাসকদের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞাত? যেমন আমরা না চিনি আমাদের মনের ভিতরে থাকা অন্ধকারকে, তেমন আমরা ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানকে যুক্ত করে দেখতে পাই না। কারণ আমাদের চোখে ঠুলি পরানো থাকে। ইতিহাসের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের জনগণ যদি চলত, তাহলে ফ্যাসিস্টদের উঠতেই দিত না।

কিন্তু এখন, আপনারা নিশ্চয় মানবেন, মৌলবাদ যেমন তার সমস্ত দাঁত মুখ অসহিষ্ণুতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আমাদের জীবনে, তেমনটা আগে কখনও হয়নি। কী তাদের লক্ষ্য? হিন্দুরাষ্ট্র। যেমন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার যাক না যাক, আমাদের বেকারত্ব কমুক না কমুক, জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমুক না কমুক, মানুষ চাকরি পাক না পাক, আগুন বাজারে তরিতরকারির দাম কমুক না কমুক, মন্দির হবেই অযোধ্যায়। এই কিছুক্ষণ আগে খবর পড়লাম মোদীজি বলেছেন প্রতিবাদ যারা করছেন তাদের পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা এরা।, অর্থাৎ আবার সেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি। একজন প্রধানমন্ত্রীও সেই উস্কানি দিলেন। এর ফলে দেশে যদি আরও আগুন জ্বলে ওঠে, তাহলে বলার কিছু থাকবে না।

যদি বলি হিন্দুরাষ্ট্র বনাম ভারতীয় গণতন্ত্রের নাগরিকদের মধ্যে লড়াই চলছে তাহলে মনে হয় আপত্তি করবেন না? এখন এই হিন্দুরাষ্ট্রের সেবকরা এতটাই নির্লজ্জ , অহংকারী এবং ফ্যাসিস্ট, যে আগে যদিও বা একটু আড়ালে মৌলবাদী পদক্ষেপ নিত এরা, এখন সে সব নেয় প্রকাশ্যে। আর নেয় যে, তার জন্য তার জন্য তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র লজ্জাও থাকে না, সেগুলিকে আড়াল করতেও চায় না। সর্বসমক্ষে জেনোসাইড চালাতে আপত্তি নেই, দাঙ্গা চালাতে আপত্তি নেই, গোমূত্র পানের বিজ্ঞাপন করতে আপত্তি নেই, হুমকি দিতেও আপত্তি নেই। মানে হল এই যে, মৌলবাদী প্রবণতা যা যা ছিল, সেগুলি হয়ে গেছে এদের কাছে স্বাভাবিক এবং গর্বের বিষয়। আর এই সরকার সেই গর্বের বিষয় মৌলবাদকে করে দিচ্ছে সরকারি ভাবে সমর্থিত।

এ দেশ সরকারি ভাবে হিন্দুরাষ্ট্র হওয়ার দিকে আর তাকে যদি আটকাতে হয়, ভারতীয় গণতন্ত্রের সমর্থনকারী যারা তাদের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। কিন্তু শুধু ঐক্যবদ্ধ হলে যুদ্ধ হয় না। কারণ যুদ্ধটা হিন্দুরাষ্টের বিরুদ্ধে। যুদ্ধের জন্য দরকার পরিষ্কার একটি মতাদর্শ। সেই মতাদর্শকে অবশ্যই বামপন্থী হতে হবে বলে আমি মনে করি। আর এই যুদ্ধ অবশ্যই নিজেদের ক্ষতি করে সম্ভব না। আজ যদি আমি ভাবি আমার পাশের বাড়ির ছেলেটি শত্রু, আগুন জ্বালাও তার দোকানে, যদি ভাবি স্টেশনের স্টেশোনমাস্টার ভারতীয় রাষ্ট্রধর্মের প্রতিনিধি, আগুন জ্বালাও, তাহলে তা আস্তে আস্তে হিন্দুরাষ্ট্রের শাসকদের হাত-ই শক্ত করবে।

নিশ্চিত ভাবেই ভারতে আজ যা চলছে তা জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ংকর। কিন্তু এই ভয়ংকর অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের মধ্যে থাকা মৌলবাদী, অশ্রদ্ধার ছায়াগুলিকে সরানো দরকার। তা না হলে আমরা কীভাবে হিন্দুরাষ্ট্রের শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করব? আমরা যদি মুসলমানদের কাটা, লেড়ে বলে গালি দিই, যদি মনে করি, ওরা শয়তান, তাহলে আমরা কীকরে হিন্দুরাষ্টের বিরুদ্ধে লড়ব?

গণতন্ত্র আমাকে দিচ্ছে আমার বাক-স্বাধীনতা, যা হরণ করে নেবে হিন্দুরাষ্ট্র। গণতন্ত্র দিচ্ছে পোশাক, সংস্কৃতির স্বাধীনতা, যা পরবর্তীকালে চালিত হবে হিন্দুরাষ্ট্র দ্বারা। এই যে লিখছি, তা লিখতে পারছি এখনো, আগামী কাল লিখতে পারব কিনা জানি না, যদি ভারত হিন্দুরাষ্ট্র হয়েই যায়। নেটফ্লিক্সে লায়লা সিরিজটা দেখে নেবেন। অথবা দেখতে পারেন গুল সিরিজটাও। সিরিজ বলে নাক সিঁটকোবেন না। এগুলিও রাজনৈতিক।  যেমন অরওয়েল রাজনৈতিক।

মৌলবাদের বিরোধিতা করতে গেলে উল্টোদিকের মতামতগুলিকে গ্রহণ করাও সমান ভাবে জরুরি। আমি যদি না সহিষ্ণু হতে পারলাম,যদি না আমি পারলাম আমার ভিতর থেকে ফ্যাসিস্ট প্রবণতাগুলিকে দূরে সরিয়ে দিতে, তাহলে আর কীভাবেই বা হিন্দুরাষ্ট্রের বিরোধিতা করব?

ভারতবর্ষ এক ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরাও যাচ্ছি। আমাদের ব্যক্তিসত্তাও যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ কিন্তু ব্যক্তিমানুষকেও নষ্ট নোংরা শাসক এবং হিংস্র করে দেয়।

হিন্দুরাষ্ট্র যেন আমাদের এভাবে অধিকার না করতে পারে। আত্মশক্তির বিরোধটা যেন চালু থাকে আমাদের।

কিন্তু পক্ষ এবার নিতেই হবে। হিন্দুরাষ্ট্র না কখনই। পৃথিবীতে কোনও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে ভোট দিয়ে পরাজিত করা যায়নি। তার জন্য যুদ্ধ হয়েছেই।

এটা মনে রাখাটাও জরুরি।

5 comments:

  1. এই বার্তা শেয়ার করা উচিত সবার। বাস্তবিকই আজ পক্ষ নেবার কাল।

    ReplyDelete
  2. এই অশুভ শক্তির বিনাশ চাই।

    ReplyDelete
  3. খুব জরুরি লেখা হিন্দোলবাবু,ধন্যবাদ নিন।
    একটা কঠিন সময় এলে কী হয়,বিপক্ষকে চিহ্নিত করা সহজ হয়ে যায়, এখন যেমন অপশাসন আর অপশক্তিটিকে চিনতে আমাদের কারুরই ভুল হচ্ছেনা।
    কিন্তু এই ডামাডোলে 'এপক্ষ' চিহ্নিত করাই কঠিন। খেলাটা সবাই খেলছে। যারা পথে নেমেছে আজ, তারা জানে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমর্থন তারা পাবেই কিন্তু এই দলগুলিই সংসদে অনুপস্থিত থেকে বিল পাশে সহযোগিতা করেছে।
    সত্যিই অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে পৃথিবীতে।

    শেষে আবার স্বীকার করি, আপনার লেখাটি এইসময়ের অত্যন্ত জরুরি একটি লেখা।
    অশুভ শক্তি সরতে বাধ্য, শুধু চাই, শুভ শক্তি যেন প্রকৃতই শুভ হয়ে ওঠে।
    নমস্কার নেবেন।

    ReplyDelete
  4. আপনাদের ধন্যবাদ

    ReplyDelete

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না  যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায় আমি তাকে ঘৃণা করি- যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হ...

পাঠক-প্রিয়