Sunday, December 15, 2019

কবিতা রবীন বসু





উৎসবের আলো


উৎসবের আলো মেখে দাঁড়িয়েছে আমার শহর


অথচ


অকালবর্ষণে দুঃখরা ভিজে কাক
ছেঁড়াকাঁথা পেতে শুয়েছে ফুটপাত
তোমার আমার সম্পর্কে আজ করকরে বালি
সমস্তটাই প্রকাশ্যে হোক, তোলা থাক গুপ্তঘাত


এমনই বেদনা-ঘিরে উৎসবে এসে বসে দাঁড়কাক
মলিন পুচ্ছ থেকে ধুয়ে নেয় রাত্রিজাগা শোক
তীক্ষ্ণ ঠোঁট বিদ্ধ করে সমূহ আলো
অন্ধকারে উঠে আসে অন্নহীন শূন্য পাত


অথচ


ভ্রমণে বেরিয়েছে পথ, উল্লাসময় মানুষের ঢল
মেদ মহিমা-চর্চিত এরা কারা?
অপাঙ্গে আহত করে সব সুস্থ মানবিক দিক
সভ্যতার শেষলগ্নে বিবমিষা ইচ্ছারা করে কলরোল


অথচ


উৎসব মানে তো সম্পর্কে থাকা, মিলনের অনন্ত প্রহর



দুঃখের হলুদগুঁড়ো


আজ এই দুর্গাদিনে, এই আলোময় শিউলিরোদে
তোমার হলুদশাড়ির আঁচল বার বার ছুঁতে চাই ;
কী রহস্য আর কৌশলে তোমার গায়ের গন্ধ
বুক ভরে নিতে গিয়ে ধরা পড়ি চোখের ইশারায়।


আমি আভূমি নত হই লজ্জায়, উপহাস নয় তাচ্ছিল্যে
ভরে উৎসব-উঠোন ; কাঙাল মানুষ আমি, দু'হাত
বাড়িয়ে বলছি শোন :  ভিক্ষা দাও! করুণার দান
আজ আমি ভরে নেব শূন্যপাত্র অনন্ত মশকরায়।


যতই বিতাড়ন দাও ওই দেখো জড়ো হচ্ছে অকুতোভয়
আমার প্রেমের লাঠি ঠিক যেন বিদ্ধ করে মর্মমূলে
ক্ষতহীন রক্তশূন্য গূঢ় সমাচার জানিয়ে দিল জয়
হলুদ শাড়ির পাশে পড়ে আছে নাছোড় প্রত্যাশায়।



আমি তাকে যত্নে ধরি, পার্লারে নিয়ে যাই জোর করে
তবু দেখি বিয়ের কনের মত দুঃখের হলুদগুঁড়ো মাখে


No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না  যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায় আমি তাকে ঘৃণা করি- যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হ...

পাঠক-প্রিয়