Sunday, December 15, 2019

দুটি কবিতা - অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়




বেদানা

বেদানার কোয়াটুকু রেখে আসি স্তনের চূড়ায়
কে তাতে কামড় দেবে? কে তার লাল শাঁস চিরে
বাজুবন্ধ খুলে দিয়ে ক্রমশ আদিম হতে চায়?
ছিলার টানের ধ্বনি লেগে থাকে ছুটে যাওয়া তিরে

ব্যাধ,তার শিকারের অন্ধকার লালাটুকু ঘষে
স্তন বেয়ে উঠে আসে যেখানে লাভার পাশে নুড়ি
বিছিয়ে রয়েছে ঘন, অতিস্পর্শকাতরতা দোষে,
চূড়ার প্রতিটি ভাঁজ ধারালো জিভের মতো ছুরি

ফালাফালা করে দেয়, শরীর ছাপিয়ে ওঠে জল।
সে জলের নিহিতার্থ পারদে মাপিনি কোনোদিন
শুধু তার মায়াটুকু খিদের মুখেই সম্বল
যেভাবে নরম স্নায়ু লিঙ্গ নামে পরিচিত, ক্ষীণ

ওঠে তাপ, ওঠে বাষ্প, আগুনের ইতিহাস জানা
আদিম ফলের মানে খোসাহীন ছাড়ানো বেদানা

সুর

না বাজা বাঁশির কাছে সুরেরা মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে
যেমন দড়ির কাছে গোরুহারা ফকির রাখাল
সন্ধ্যা হয়ে আসে তবু মানুষ ফেরেনি তার গোঠে
লম্ফ প্রায় নিভুনিভু, এই দেশে ঘুমের আকাল

চলো, ফিরে চলো সেই অলিখিত ভুয়ো ঠিকানায়
যেখানে সাপের পাশে তাঁবু ফেলে আছে ভায়োলিন
ঝাঁপিটি উজাড় করে বেদেনীরা স্নেহভিক্ষা চায়
জড়ো করো সব কথা। জিভের ফাটলে রাখো ঋণ

এবং বিষের ভারে পোষা সেতারের প্রিয় স্বর
কোমলেই মিশে যাবে। সমূহ বিষাদমূর্ছনা 
নিজের খেয়ালে বেজে ডেকে আনবে কান্না,লয়, ঝড়
যেসব আওয়াজ সেই পেটের ভেতর থেকে শোনা

গর্ভজলে বেড়ে ওঠে অন্তহীন বালকের ভ্রূণ
আমাকে পোড়াতে পারে মেহগনি সুরের আগুন

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না  যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায় আমি তাকে ঘৃণা করি- যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হ...

পাঠক-প্রিয়