Sunday, December 15, 2019

প্লেটোর ডায়রি - সুকৃতি







যা আছে সব সত‍্যি ঘটনা।গল্প নাই।বাবা ডিফেন্সে থাকায় ছোটো বেলা থেকে বাইরে বাইরেই কেটে গেছে। বছরের মাঝামাঝি সেশনে আমাকে গ্রামের এক স্কুলে ক্লাস ফোরে ভর্তি করে দেওয়া হলো।চার-পাঁচমাস আগেও আমি দিল্লিতে ডনবক্স স্কুলের ছাত্র ছিলাম।ক্লাস ফোর পাশ করে ফাইভেও উঠে গেছিলাম। এখানে আবার সেই ফোরে। আমার পড়াশোনার সাথে সাথে শুরু হলো আমার উপর এক প্রকার অত‍্যাচার।মা আর পূর্ণিপিসি খুব সুন্দর ভাবে এই অত‍্যাচার চালিয়ে গেছেন।হ‍্যাঁ,অত‍্যাচারই বলবো।দিন নেই,রাত নেই আমাকে দিয়ে বাংলায় হাতের লেখা করাচ্ছে।বাংলা ইতিহাস ভূগোল বিজ্ঞান সব বই থেকে লেখাচ্ছে।খাতার পর খাতা বাংলা লেখা প্রাকটিস।

যতোই বাংলার বাইরে কাটাই বাংলাটা বলতে অসুবিধা হতো না।কেবল যে ওই মুগুর চিনতাম না,খুঁটো বুঝতাম না,চিকু চিনতাম তবে সফেদা চিনতাম না, ঝাড়ু চিনতাম কিন্তু পিছে চিনতাম না।এই রকমই কিছু কিছু মানে জানতাম না। তবে কথা ভালোই বলতে পারতাম।পড়তে গেলে একটু আধটু বাধতো কখনও সখনও।এখন যেমন হিন্দি পড়তে গেলে হয়।ফলে খেলার সময়ই পেতাম না।ঘরে বসে শুনতে পেতাম,জানলা দিয়ে দেখতে পেতাম আগানবাগান দিয়ে চিল্লামিল্লি করতে করতে আমার বয়সী ছেলে মেয়েরা ছোটাছুটি করছে। আমাদের ঘরের দক্ষিণ দিকে খড়ের গাদার ওপাশে একটা জংলা মতো বড়ো জায়গা পদদলিত হতে হতে  আমাদের মতো ছেলেপিলেদের বৈকালিক খেলার মাঠে পরিনত হয়েছে।সেখান ছেলেমেয়েরা বল ছুঁড়ে ছুঁড়ে সাতচাঁড়া খেলছে।সে সব শব্দও আমি ঘরে বসে শুনতে পেতাম। কিন্তু ওদের মতন রোজ নিয়ম করে ও নিয়ম ভেঙ্গে খেলতে যাওয়ার উপায় ছিল না আমার।

একদমই যে খেলতে যেতাম না,এটা বললে ডাহা মিথ্যা বলা হবে।আমিও খেলতে যেতাম,যেদিন বাবা বাড়ি থাকতো।ওই সপ্তাহে একদিন।কখনও সপ্তাহে দু'দিনও হতো।এই যে ওদের সাথে আমি সবসময় খেলতাম না বা যেতে পারতাম না,ফলে যেদিন খেলতে যেতাম সেদিন অতিথি খেলোয়াড়দের মতো গুরুত্ব পেতাম না কি ওরা আমায় করুণার চোখে দেখতো বলে আমার সব দাবি মেনে নিতো বুঝতাম না।তবে আমার ওই ষোলোঘুটি,চাড়াভাঙ্গা,চু কিত কিত খেলার থেকে ভালো লাগতো চোর পুলিশ খেলা।

পাড়া-প্রতিবেশী-ভাড়াটে সব ছেলে মেয়েরাই আমরা একসাথে খেলতাম।সমান দুটো দলে ভাগ হয়ে যেতাম আমরা।আমাদের ভিতরে সব থেকে বড়ো ছিল সান্টুদা।একটু একগুঁয়ে আর হঠাৎ মারাকুটে টাইপেরও ছিল।ফলত সবাই ওকে একটু সমঝে চলত।ও আমার জেঠুর ছেলে।খেলার প্রাঙ্গণে সান্টুদার ভাই হওয়ার কারণে আমিও মাঝেসাঝে দলের মধ্যে একটু রোয়াব দেখাতাম।সান্টুদা তখন সবে ক্লাস সেভেনে উঠেছে।বিল্লো,ভোলা ক্লাস সিক্সে উঠেছে। আমি,মিঠু ক্লাস ফাইভে ভর্তির জন্য অ‍্যাডমিশন টেস্টে পাশ করে গেছি।এখনও ভর্তি হইনি।জয়রাম তো ক্লাস ফোরেই ফেল মেরেছে।ফাইভেও ওর আর পড়ার ইচ্ছা আছে কি না জানি না।বাংলাদেশ থেকে এসেছিল ওরা কোনো এক আত্মীয়ের ভরসায়।কিন্তু সেই আত্মীয় মশাই আর আত্মীয়তা রাখে নাই।ফলে ওরা ভাড়া থাকে সান্টুদাদের বাড়ির ওপাশে হালদার বাড়িটায়।ওর বাবা ফল বিক্রি করে।ওকেও মাঝেমাঝে স্টেশনে ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসিয়ে দ‍্যায়।কখনও সখনও জয়রাম ওর বাবার টাকাও চুরি করেছে শুনেছি। টাকা-পয়সা চুরি করে স্কুলের পাশে দাদুর দোকান থেকে কাবলি-চাটনি খেতো।আশ্চর্যের বিষয় ওর বাবা মা ছাড়া সবাই ওকে রাম বলেই ডাকে।আমরাও ডাকতাম,হোইরাম…

কিছুদিন আগেই একবার দিলীপ কাকুদের লেবুবাগান থেকে বাজারের ব‍্যাগের প্রায় হাঁফ ব‍্যাগ কাগোজিলেবু চুরি করে ধরা পড়ে গেল।সেই নিয়ে ওর বাবা আর মা কী উদমা ক‍্যালানি দিল ওকে! তারপরেও পাড়ার কয়েকজন এবং ওদের বাড়িওয়ালা যখন ওদের ঘর ছেড়ে অন‍্য কোথাও ভাড়া খুঁজে নিতে বলল,তখন জয়রামের মা সেই জায়গা ছেড়ে ছুটল রেললাইনের দিকে।পাড়ার দু'একজন আবার ছুটে গিয়ে ওনাকে ধরে এনে মাথায় জল ঢেলে দিল।

দু'চারদিন পাড়ায় আমাদের মতো বাচ্চাদের উপর জয়রামের সাথে না মেশার ব‍্যাপারে একটা নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।যদিও ওর মা-বাবার উপর কারও কোনও অভিযোগ ছিল না।বরং যাদের সাথে খাতির একটু বেশি,পাড়ার সেই জেঠি-কাকিরা ওর মা'কে রান্না ঘরের ডোয়াটা একটু লেপে দিতে বললে,সে পুরোটা লেপে দ‍্যায়।উপরন্তু মাঝেমাঝে উঠোনটাও ঝাড় দিয়ে দ‍্যায়।

খেলার মাঠে কিন্তু আমরা জয়রামের সঙ্গে মেশার ব‍্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কথা প্রায় ভুলেই যেতাম।যে কোনও দলের ক‍্যাপ্টেন ওকে দলে নিয়ে নিতো।কারন খেলার বেলায় রাম ছিল সবল বালক।ওর দান সবার শেষে দিলেও ওর তাতে কোনও আপত্তি ছিল না।তাছাড়া বলটল নোংরা কোথাও পড়ে গেলে বা কাঁটাঝোপে ঢুকে গেলে ওকেই পাঠানো হতো।

কিন্তু ওকে আমার কখনোই পছন্দ হতো না।সেটা যে ওর ওই চুরি করা অভ‍্যাসের জন্যই শুধু,তা নয়। একদিন পাশের মাঠে গোল্লাছুট খেলতে খেলতে হিসি পেয়ে গেলো।আমি আব্বুলিশ দিয়ে দৌড়ে দূরে একটা গর্তের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লাম।তখন তো আমাদের হাঁফ প‍্যান্টে চেন থাকতো না।তিনটে বোতাম থাকতো।আর হাঁফ প‍্যান্টটা একটু ঢোলা ঢালা হলে তো আর বোতাম খোলার দরকারই পড়তো না।আমি গর্তটার দিকে তাঁক করে সবে হিসি শুরু করেছি,এমন সময় রামও দৌড়ে এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে হিসি শুরু করে দিলো।যেন কার হিসি কতো দূরে গিয়ে পৌঁছায় সেই প্রতিযোগিতা চলছে।রাম হঠাৎ আমাকে বললো,দ‍্যাখা দ‍্যাখা,তোরটা দ‍্যাখা।আমার হঠাৎ রাগ হলো না কি আমি কিছুই জানি না।তবে রাগলে এমন হয়,আমি একটু তুতলীয়ে ওর মুখের পরেই বললাম,তোতোরটা দ‍্যাখা! সঙ্গে সঙ্গে রাম আমার দিকে ঘুরে গেল আর ওর হিসি লাগলো আমার পায়ে।

আমি জোরসে চিৎকার করে উঠলাম এই শালার রাম!ওর হিসি করা শেষ হয়ে গেল আর দৌড় লাগালো ওখান থেকে।আমিও তাড়াতাড়ি করে বোতাম আটকাতে আটকাতে রামকে মারার জন্য ছুটলাম।রাম অনেকটা আগেই এগিয়ে গেছিলো।আমি ওর পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে মাটির একটা ছোটো মতো ডেলার দিকে চোখ পড়তেই সেটা তুলে রামকে টার্গেট করে ছুঁড়লাম। কিন্তু লাগলো গিয়ে সান্টুদার পিঠে।

সান্টুদা পিঠটা বেঁকিয়ে একটা আওয়াজ করে পেছন দিকে ঘুরতে ঘুরতে বসে পড়লো।রাম সান্টুদার পাশ দিয়ে,তোর ভাই মারছে,তোর ভাই মারছে… বলতে বলতে ছুটে গেল। আমি মুখ কাচুমাচু করে সান্টুদার কাছে এগিয়ে গেলাম।সান্টুদার চোখে জল চলে আসছে, কিন্তু বড়ো বলে কাঁদতে পারছে না।দুই হাতের তালু দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল,ভাই মারলি আমারে!আমি তাড়াতাড়ি সান্টুদার পিঠে যে জায়গায় ঢিলটা লেগেছে সেখানে মালিশ করে দিতে চেয়ে হাতটা যেই পিছনে নিতে গেছি,সান্টুদা এক ঝটকায় আমার হাতটা সরিয়ে দিল,উঠে দাঁড়িয়ে বলল,কাকিমারে বলে দেবো,তুই আমারে অতো বড়ো এট্টা পথর মারছিস।

হয়ে গেল!এবার আমার কপালে কী আছে তা আমিই সব থেকে ভালো করে জানি।মা'র কাছে নালিশ মানে উদোম ক‍্যালানি।মা ভাইকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে বেরোনোর সময় আমাকে স্পষ্ট ভাষায় বলে গেছে,একদম বদমাইশি করবে না, চুপচাপ ঠাকুমার কাছে থাকবে,বাড়ি থেকে কোথাও বেরোবে না।ভাইকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি,এসে যেন কোনও নালিশ না শুনি!সেই মা'র কাছে নালিশ করা মানে,সে কার কী দোষ দেখবে না।চড় থাপ্পড় শুরু করে দেবে।কেন গেছিস তুই বল আগে।

সান্টুদা গোল্লাছুট খেলা ছেড়ে নালিশ করবে বলে আমাদের বাড়ির দিকে যাবেই।আমি আরও কাচুমাচু হয়ে বললাম,সত‍্যি বলছি,শোন আমার কথা।আমি তোকে মারতে চাইনি।রামকে মারতে গেছিলাম।ঘটনাটা বললাম,রাম কি অসভ্য জানিস!হিসি করার সময় আমারটা দেখাতে বলছিল,তারপর এই দ‍্যাখ আমার গায়ে পেচ্ছাব করে দেছে।বলে আমি,পায়ে ভিজে দাগটা দেখালাম।

সান্টু দা ভুলে গেলো,একটু আগেই আমার ছুঁড়ে মারা একটা মাঝারি টাইপের ডেলায় ব‍্যাথিত হয়েছিল।সান্টুদার গলার টোন পাল্টে গেল, তুই আমারে আগে বলবি তো ভাই।বলেই আমাকে নিয়ে রামকে ধরার জন্য ছুটল।রামও বুঝতে পেরে সারা মাঠ জুড়ে ছুটতে লাগলো।সান্টুদা পেছন থেকে ধরেই ফেলতো ওকে। কিন্তু তার আগেই,উল্টো দিক থেকে ভোলা রামকে জাপ্টে ধরল এবং দু'জনে ধস্তাধস্তি করতে করতে পড়ে গেল।সান্টুদা আর আমিও পৌঁছে গেলাম।গিয়েই সান্টুদার প্রশ্ন,তুই ভাইয়ের গায়ে মুতছিস ক‍্যান?বলেই একটা লাথি মারলো রামের পাছায়।
সঙ্গে সঙ্গে রাম বাপ মা তুলে বাজে বাজে খিস্তি মারতে মারতে উল্টো দিক করে দৌড় শুরু করতে গিয়ে গেল পড়ে!ভোলা দৌড়ে গিয়ে রামের পেছন দিয়ে দুই হাত বগলের নিচে ঢুকিয়ে টানতে লাগল।
আর রামও সমানতালে খিস্তি মেরে যাচ্ছে।
বাপ-মা তুলে খিস্তি দেওয়ায় সান্টুদা আরও রেগে গেছে।ওকে আরও দুটো লাথি মারতে চাইলো। কিন্তু ভোলা চিত হয়ে থাকা রামের হাত ধরে উল্টো দিকে টানতে থাকায় এবং চিতপটাং রামও তার পা উল্টো পাল্টা ছুঁড়তে থাকায় সান্টুদার চালানো লাথি রামের তো লাগলোই না, উল্টে রামের চালানো পায়ের লাথি লাগলো সান্টুদার পায়ে।

সান্টুদা আরও রেগে গিয়ে,শালার চোরা রাম,তুই ভাইয়ের পায়ে মুতছিস… বলতে বলতে ঢোলেঢালা হাঁফ প‍্যান্টের এক সাইড একটু ফাঁক করে দিল রামের পায়ে হিসি করে।এটা দেখে ভোলাও বেশ মজা পেল।সেও চিতপটাং রামের হাত ছেড়ে সান্টুদার পাশে দাঁড়িয়ে হাঁফ প‍্যান্টের এক সাইড তুলে রামকে টার্গেট করে হিসি করতে লাগলো।

রাম উঠে জোরে জোরে বাপ মা তুলে নোংরা নোংরা খিস্তি দিতে দিতে বাড়ি চলে গেল।সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।আমরাও যে যার বাড়ি চলে এলাম।মা ভাইকে নিয়ে এখনও ফেরেনি।হাত-পা ধুয়ে বই পড়তে বসে গেলাম।সন্ধ্যা ঘুরতে ঘুরতে ভাইকে নিয়ে মা-ও ফিরে এলো।আসতেই মা জিজ্ঞাসা করলো,বাবু, ঠাকুমাকে জ্বালাতন করিসনিতো? কোথাও যাসনি তো?

আমি কী বলবো!ঠাকুমাই বলতে লাগলো,না না দাদা আমার ভালো।একটু খেলতি গিছিল আমার কাছে শুনে।তাও তাড়াতাড়ি চলে আইছে।আসেই পড়তি বইছে দ‍্যাহো।
আমি বসে বসে হাতের লেখা প্রাকটিস করছিলাম।আর শুনছি,ঠাকুমা বলে যাচ্ছে,দ‍্যাহো,দ‍্যাহো, তোমার শোউরও এই ভাবে আসন করে বসে গান লেকতো।
বলতে বলতে ঠাকুমার গলা ভারি হয়ে আসছে। আমি হাতের লেখা প্রাকটিস করতে করতে সান্টুদার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি যেন।মা-ও বলছে, সান্টুর চিল্লানোর আওয়াজ না?
ঠিক।সান্টুদা,ওরে বাবারে মারে করে চিল্লাতে চিল্লাতে ঠাকুমার কাছে ছুটে আসছে।সান্টুদার পেছন পেছন একটা কঞ্চি নিয়ে ছুটে আসছে জেঠিমা।এর মধ্যে দুটো তিনটে বাড়িও মেরেছে।সান্টুদা দৌড়ে এসে ঠাকুমার পিছনে লুকিয়েছে।এমনিতে ঠাকুমা বয়সের ভারে ব‍্যাথাবুথিতে কাতরাতে থাকে, কিন্তু নাতিনাতনিদের মারধর করতে দেখলে ওঁনার ব‍্যাথা যায় হারিয়ে।ধেই ধেই করে মা-জেঠিমার সামনে রুখে দাঁড়ায়।

এবারও তার ব‍্যাতিক্রম ঘটলো না।জেঠিমার উপরে ঠাকুমা হম্পিদম্পি করে উঠলো।যদিও সান্টুদাকে যেটুকু মারা হয়,তার তুলনায় সান্টুদা বেশিই চিৎকার করে।জেঠিমা একবার আমার দিকে তাকিয়ে,তারপর মা-র দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো, এই দুই ভাই কী করিছে জানিস!রামের বাপ এসে নালিশ করল আমারে।খেলতি গিয়ে এই দুই জন রামের গায়ে পেচ্ছাব করে দেছে।

অতীত-ভবিষ‍্যৎ,ইহলোকে-উহলোক,মা'র অগ্নিমূর্তি ধারণ,ক‍্যালানি আরও কী কী চিন্তা করতে করতে আমার হাত পা যেন অবশ হয়ে এল।আমি লেখা টেকা বন্ধ করে কোনও মতে বলে উঠলাম,আমি না, আমি না।ভোলা করেছে।আর সান্টুদা করেছে।

1 comment:

  1. ছোটোবেলার গল্পগুলো কত মজার! পড়ে নির্মল আনন্দ পেলাম।

    ReplyDelete

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না  যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায় আমি তাকে ঘৃণা করি- যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হ...

পাঠক-প্রিয়