ছুঁয়ে ফেলার অহংকারে
অনেকদিন কিছু
না লেখার মধ্যে ডুবে যেতে যেতে
ছুঁয়ে ফেললাম
তোমার গোড়ালি
অনেকদিন
যন্ত্রণায় আছি স্বজন হারানো সন্ধ্যায়
মুখোমুখি নৈশব্দ্যের
আলোছায়া...
অশ্রুফোটানো সাংসারিক
উনুনে পুরোনো অভ্যাসের গল্পগাছা
বয়স গড়ানোর মিথ্যে
অহংকারের খোলসে সৌখিন আবদার
ছোটো ছোটো আশা
ভাঙার দিনে তুমি স্বপ্নদোষের পসরা সাজিয়েছো...
নির্বিকারের কুহক
আর নান্দীপাঠের খড়ধোয়া জলে
ভেসে চলেছে সোনার নৌকো
ঘাস ও মাটির
রক্তাভ সবুজে একটি চাঁদের গল্প
দূরে দূরে
আকাশ ও মাটির স্বপ্নগহীন ভালোবাসার উপাখ্যান
কষ্ট পাই গোপন প্রহরে
সরল উপপাদ্যের
মতো গাণিতিক জীবন জ্যামিতি
কান ধরে ওঠায়
বসায় মিথ্যের ভরাগাঙে
তেমন কিছুর
মতো তোমাকে ভাবিনি বলে কষ্ট পাই গোপন প্রহরে
অনেক জানার মাঝে
অজানারা লুকিয়ে রেখেছে ডালপালা
সেইসব পুরোনো
সম্পর্ক ভাঙা রোদ্দুরের চিলেকোঠা থেকে
ডাক আসে
অনন্তের ডাক...
আমাকে বিষাদ মেঘ
ভিজিয়ে ভাসায়...
বিশ্বাসের ডিঙিখানি
টলোমলো আরক্তিম হাওয়া
আমি তো বন্ধুর
খোঁজে কাটিয়েছি আসমুদ্র টিলা
সভ্য মানুষ যাকে
বানিয়েছে পিকনিক স্পট
তোমার হৃদয়ে
বাজে গাজনের মন্দ্রাকান্তা মেঘ
তবুতো আঙুর খেতে
নেমে আসা অকাল প্লাবন
বিশ্বাসের বনকথা পাশ ফেরে অস্তিত্বের গান
অন্ধ তমাল গাছে
কীর্তনের বিনম্র আজান
অজানা জ্বরের কাছে
রেখে যাওয়া মেঘলা নূপুর
কবিতা এঁকেছে
গ্রাম অভিমানী সারাটা দুপুর...
ধ্বনিমালা
আপন দুঃখের কাছে বারবার ফিরে আসে হাওয়া
আপন সুখের কাছে প্রিয়তম
প্রতারক ঘোর
করতলে সাদৃশ্যশৃঙখল...
শরীরে বাঁশির
ডাক দুঃখমোচী স্মৃতিরোদ্দুর
ঠাহর হয়নি বলে
শব্দচিত্র বৈচিত্র্যময়
ভজনীয় মেঘশ্যাম
বৃক্ষজন্ম জীর্ণবসত
মাটিতে স্নেহজ মুদ্রা
পাতাখসা পাখির
আশ্রয় গুঁড়ো গুঁড়ো জ্যোৎস্নাবিন্দু...
গভীর রাতের গাঙে
ঢেউভাঙা মাছেরা স্বাধীন
মেতে ওঠা
পলাশের বনে অতৃপ্ত তমাল ছায়া
নীরবে ভাবায় অভিমান
ফসলের মাঠজুড়ে অস্তিত্বের গান ।
হলুদবাড়ির মায়া বিবক্ষাপ্রাচীন পরিমিতি পাঁজরের টান
শব্দগামী ইচ্ছেগুলো
প্রতিরোধী পাঠক্রমে আর্ত আহ্বান ...
অস্পষ্ট
আলোর কাছে
'উতো তস্মৈ
তন্বং বিসস্রে জায়েব পত্য উশতী সুবাসাঃ'----ঋগ্বেদ
দুরন্ত ডানার
নীচে ভাবনার ভস্ম মাখা সমূহ জীবন
পতিত সন্ধ্যার
গানে উগ্রপন্থী আবাল্য প্রণয়
অন্ধকার
লুকোনোর উপত্যকায় দশক বদলের স্বপ্ন
হামাগুড়ি দিয়ে
আসে দ্বান্দ্বিক জগৎ ...
ভেতরের কথাগুলো
সৌজন্য শেখেনি
তাই তো জলের কাছে
অপার বিস্ময়
পটের তুলির টানে প্রাচীন কাহিনি অসীমের গল্প খোঁজে
দু'একটি স্পন্দন আজ লেখা আছে কালের খাতায়
তোমাকে সকাল
ভেবে ফোন করি বিকেলের গাঙে
সূর্যাস্ত মেখেছি
আজ সারা গায়ে দ্রুতগামী আলোর প্রহর
নিসর্গের
শব্দমালা ছুঁতে চায় আঁধারের কারু
নগরকীর্তনে ছায়া
মেলে ধরে রহস্যপ্রাচীন দেবদারু...
'ছুঁয়ে ফেলার অহংকারে''কষ্ট পাই গোপন প্রহরে' দুটি অসামান্য কবিতা। এই কবিতাগুলোয় একটা লুকোনো সুর আছে,তা নাগরিক নয়, নিজস্ব।
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল। তিনটে লেখাই মন ছুঁয়ে গেল।
ReplyDelete